আজকাল তুই ভীষণ জ্বালাতন করিস, তুই কেন বুঝিস না ? তোর জ্বালাতন একদমই সহ্য হয় না আমার। তুই জানিস না, আমার সহ্য করার ক্ষমতার পরিমাণ অতি ক্ষুদ্রকণার ন্যায়। তুই কী সুখ খুঁজে ফিরিস আমার কাছে? আমার অসহনীয় যন্ত্রণার সমুদ্রে তুই কীভাবে পাল তুলে তরী ভাসিয়ে বেড়াস, আমি ভেবে পাই না। তুই এতোটা নিষ্ঠুর কীভাবে হলি আমায় বলবি, আমিও হবো তোর মতো।
তুমি জানিস না, আমি এখন একা থাকতে ভীষণ আনন্দ পাই। একাকীত্বের গহীনে আমার বসবাস। তুই তো একা থাকতে পারিস না তাই কাউকে একা থাকতে দিস না। তুই বরাবরই স্বার্থপরই রয়ে গেলি। কখনোও হিসাব মিলিয়ে দেখিছিলি তুই স্বার্থপরতার বদৌলতে কী পেয়েছিস? তোর আছে রাজপুত্র আর রাজত্ব। রয়েছে ফুলেল সাজাঁনো পরিপাটি পুষ্প কানন। একবার কী ভেবে দেখেছিস তোর পুষ্প কাননে কেন আসে না বসন্তের কোকিল, কেন গান গায় না ভোরের দোয়েল আর তোর শিউলি গাছে কেন আসে না ফুল? আমি এগুলো ভেবেই বেজায় সুখ পাই, "তোর চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ"-এ লাইনটা তোর জন্য প্রযোজ্য।
তুই নাকি প্রতিশোধ নিচ্ছিস, নে না কত নিবি। দেখিস, হিতে আবার না বিপরীত হয়। তবুও জানবো পৃথিবীতে একজন অন্তত আমায় নিয়ে অস্থির রয়েছে। তার ঘুম কেড়েছে, তার অস্তিত্বকে দখল করে নিয়েছে। শোন, বিনা বাধায় বেদখল করে দিলি তোর সবকিছুই!!!!
জানিন, এখন এক একটা দিন কাটে মহাসুখে, মাঝে মাঝে অট্টহাসিঁতে লুটিয়ে পড়ি। আর শুনে রাখ, র্নিঘুম রাত্রির যন্ত্রণা, স্মৃতির কাতরতা, ভালোবাসার ভাঙ্গার বেদনা, হৃদয় গহীনে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত এসব অসহনীয় সহ্যহীন জ্বালাময়তা এখন আমার সয়ে গেছে বরং তুই ঝলসে যাবি আগ্নেয়গিরির উত্তাপে।
আর ভালোবাসার মায়াজালে আমায় জড়ানোর যে ব্যর্থ প্রয়াস তুই করছিস, তা বাদ দে। শোন এসব ভালোবাসা-টাসাকে আমি কী পরিমাণ ঘৃণা করি তুই কল্পনাও করতে পারবি না। ভালোবাসার সংজ্ঞা আমার কাছে তোর চিন্তাধারার পরোপুরি বিপরীত।
তুই ভুল পথে পা বাড়িঁয়ে দিয়েছিস ফিরে যা- এটাই তোর শুভ পথযাত্রা......
Tags:
ফিরে যা