পৃথিবীতে "তুই" শব্দের মানুষগুলো সবচেয়ে বেশি অদ্ভুত...এরা হঠাৎ জীবনে আসে; মনের ভেতর নিজেদের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করে...তারপর হুট করে একদিন চলে যায়....চলে যাওয়ার আগে তাদের উপস্থিতি এতোটাই টের পাইয়ে দিয়ে যায় যে একটা সময় এসে দেখা যায় তুই শব্দের মানুষটিকে ছাড়া আর চলেনা..একদম না..
.
কোনো মানুষকে খুব গভীর ভাবে ভালো না বাসলে তাকে তুই করে বলাটা সহজ না...সাধারনত আমরা দেখি তুই করে বলার উল্লেখযোগ্য একটি সংখ্যা হল প্রেমিক প্রেমিকা..দু-জন নিজেদের ভালবাসার গভীরতা উপলবদ্ধি করার জন্য সম্পর্কের একটা ফ্যান্টাসিতে গিয়ে তুই শব্দটি ব্যবহার করে...মাঝে মাঝে বন্ধুরা যখন ফোনে কথা বলার সময় তুই শব্দটি ব্যবহার করে প্রেম নিবেদন করে;রোমান্টিক কোনো স্টেজে চলে যায় তখন বুকের ভেতরটা কেমন জানি নাড়া দিয়ে ওঠে...
.
ইচ্ছে করে কোনো একজন'কে চুপটি করে অনেক বেশি ভালবাসি...অনেক অনেক বেশিই...আর মানুষটিকে সামনে থেকে কখনও তুই বলার অধিকার'টা না পেলেও রাত্র ১২ টা বাজলে তার ছবির সাথে তুই করে কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে যাই...আচ্ছা এই তুই বলে ডাকার মাঝে অদ্ভুত একটা আত্নতৃপ্তি আছে তাইনা.? হুম নিশ্চয় আছে হয়তো...আর এটা আবিস্কার করার জন্য হলেও এক চিমটি ভালবাসা খুব দরকার..খুব খুব..
.
মাঝে মাঝে যখন কেউ ইনবক্সে মেসেজ দিয়ে বলে-"ভাইয়া আমার ভালবাসার মানুষটা আমায় ছেড়ে চলে গেছে বা আমাকে আমার ভালোবাসার মানুষটা এভয়েট করে ; কষ্ট দেয়...তখন ভীষন;ভীষন খারাপ লাগে...আচ্ছা তুই বলে ডাকার মানুষটা এতো নিষ্টু হয় কিভাবে বলতে পারেন.? এরা পারেনা আমাদের ছোট ছোট ভুল গুলো ক্ষমা করে দিয়ে আগের মত হয়ে যেতে.?
.
নিষ্ঠুর ঐ সকল মানুষগুলোকে বলতে ইচ্ছে হয়-"হে ভালবাসার মানুষ আপনি বড়ই ভাগ্যবান যে পৃথিবীতে শত-শত কোটি মানুষগুলোর ভেতরে কেউ একজন আপনাকেই বেছে নিয়েছে তার ভালবাসার উপযুক্ত মানুষ হিসেবে...আর আপনি তাকে অবহেলা;অবজ্ঞা করছেন..আপনি কখনও কল্পনাও করতে পারবেন না আপনাকে তুই বলে ডাকা মানুষটা আপনার জন্য কতোটা পাগলামী করতে পারে...!!
.
→যে মেয়েটা রাত্র নয়টা বাজার সাথেই খেয়ে-দেয়ে মায়ের গলা জড়িয়ে ঘুমিয়ে যেত সে এখন রাত ১২ পর্যন্ত জেগে থাকে একটি ফোন কলের আশায়...!!
.
→যে ছেলেটা সপ্তাহে ফোনে ৫০ টাকা লোড দিতনা...সে এখন প্রতিদিন ফোনে টাকা ভরে...!!
.
→যে মেয়েটা আগুন দেখে ভয় পেয়ে রান্না ঘরের ধারে যেত না...সে আজ মায়ের কাছ থেকে রান্না শিখিয়ে নিতে ব্যাস্ত...প্রিয় মানুষটিকে নিজের হাতে এক বেলা রান্না করে খাওয়াবে বলে...!!
.
→যে ছেলেটা কখনও টি-শার্ট ছাড়া ফুল শার্ট পড়াতেও অভ্যস্ত না সেও এখন মাঝে মাঝে সাদা পাঞাবী পড়তে চায়...শুধু মাত্র প্রিয় মানুষটার আবদারে...
.
→যে মেয়েটা ১৬ টা বছর সালোয়ার কামিজ আর বোরখা পড়িয়ে কাটিয়ে দিল সেও এখন বড় আপার থেকে শাড়ি পড়া শিখে নিতে চায়...কারন প্রিয় মানুষটিকে কথা দিয়েছে নীল শাড়ি পড়ে রিস্কায় ঘুরবে দুজন।
.
আচ্ছা আর কতোটা...কতোটা পাগলামী করলে এই "তুই" মানুষটি বুঝবে যে সত্যিই তাকে অনেক ভালবাসি আমরা.??
Tags:
তুই